আপনি আপনার সময়কে ঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারেন আবার অপচয়ও করতে পারেন। এ ব্যাপারে আপনি স্বাধীন। আল্লাহ আমাদের ইচ্ছা শক্তি কাজে লাগানোর স্বাধীনতা দিয়েছেন। এই কারণেই আমাদের পরকালে সময় বা জীবন কী কাজে ব্যয় করেছি, তার হিসাব দিতে হবে।
সময় ব্যবস্থাপনার সামর্থ্য থেকেই একজনের সাফল্য বা ব্যর্থতা নির্ধারিত হয়। আপনার পেশাগত বা সাংসারিক জীবনে সাফল্য বা ব্যর্থতা আসার অনেক কারণ থাকতে পারে। কিন্তু তার মধ্যে প্রধান কারণ হলো জীবন বা সময় ব্যবস্থাপনা না জানা।
যেকোনো কিছুতে কৃতিত্ব বা নৈপুণ্য অর্জন করতে সময় একটি অপরিহার্য ও অপূরণীয় উপাদান। এটা আপনার সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। তবে সময়কে আপনি সঞ্চিত করতে পারবেন না। এটি একবার হারিয়ে গেলে আর পুনরুদ্ধারও করতে পারবেন না। তাই সময়কে যত স্বার্থকভাবে ব্যবহার করবেন, তত বেশি কর্ম সম্পাদনে সক্ষম হবেন; পুরস্কারও পাবেন তত বড়ো।
কম সময়ে বেশী কাজ করার পরীক্ষিত উপায়গুলো নিয়ে এই বইয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে
জীবনের মিশন এবং ভিশন কি হওয়া উচিৎ আমাদের, তা নিয়ে সুন্দরভাবে লেখা হয়েছে
দৈনন্দিন জীবনে চেকলিস্ট এবং ছকের মাধ্যমে অনেক কাজ, কম সময়ে করার উপায়
প্যারেটো নীতি অনুসরণ করে কাজের চাপ যেভাবে সামলিয়ে সুন্দরভাবে কাজ শেষ করবেন
ব্যক্তিগত উন্নয়নে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে তা জানতে পারবেন।
সাজিয়ে গুছিয়ে কাজ করা, এবং কর্মক্ষেত্রে একটি পরিপাটি ডেস্ক কিভাবে রেডি করবেন
লেখক সম্পর্কেকিছু কথা
প্রফেসর ডঃ ইঞ্জিঃ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হিসাবেই বাংলাদেশে বেশী পরিচিত। প্রফেসর ডঃ ইঞ্জিঃ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক। বাংলাদেশের সুপরিচিত ই-লার্নিং প্লাটফর্ম qlearn এর ফাউন্ডার। ওনার অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের প্রফেশনাল সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করা। মানুষের ব্যক্তিগত ও কর্মজীবনে সফলতা অর্জনে সহায়তা অন্যতম একটি কাজ।
প্রফেসর ডঃ ইঞ্জিঃ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম তাঁর জীবনের কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে পথ চলতে চলতেই জীবন সম্পর্কীয় শিক্ষাগুলো অর্জন করেছেন। বর্তমানে তিনি কনসালটেন্ট হিসাবে কাজ করছেন অনেক সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং প্রজেক্টে। কর্মজীবনে তাঁর সফলতা ও ব্যর্থতার অভিজ্ঞতা অনেক, যা এই বই লিখতে উপাদান ও অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছে। তিনি অনলাইনে হাজার হাজার সিভিল ইঞ্জিনিয়ারকে ট্রেনিং দিচ্ছেন এবং শর্ট কোর্স করাচ্ছেন। তাঁর শিক্ষকতা, গবেষণা এবং বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে উপকৃত হচ্ছেন অনেকে। তিনি মানুষের ভুল ধারণাগুলো দূর করে সঠিক জীবনযাপন প্রণালি শিক্ষা দেওয়ার জন্য বই লেখা শুরু করেছেন। এই বইটি হলো সেই যাত্রার প্রথম পদক্ষেপ